"আলোর পথে'র জন্ম রহস্য ও এর পথচলা" ' আলোর পথে' বর্তমান সময়ে আমাদের ইউনিয়নের আলোড়ন সৃস্টিকারী এক অভিনব মানবসেবামূলক প্রতিষ্ঠান। যাদের হাতধরে এই সংগঠনের জন্ম আর পথ চলা আজ সেই বিষয়ে কিছু লিখব। ২৭এপ্রিল ২০১৫.... সন্ধ্যা ৬টা। সমিতির হাট স্কুলের মাঠে বসে গল্প করছিলাম সদ্য অনার্সে ভর্তি হওয়া মারুফ,অভি,মিজান,টিটু,আজিজ,জিলহাজ্ব ,ইমরান,রবিন, ফয়সাল এবং সাকিব। সেদিন অনেক দিন পর আমরা সব বন্ধুরা একসাথে মিলিত হয়েছিলাম। আমরা সাধারণত একসাথে বসলে একটু হলেও নিজেদের এলাকা নিয়ে চিন্তা করতাম। ঐদিনটিতে শুরু থেকে এলাকা নিয়ে কথা হচ্ছিল। আমাদের প্রাথমিক-মাধ্যমিকে প্রাপ্তির মধ্য অপূর্ণতা এবং বর্তমান অবস্থানে এই অপূর্ণতার প্রভাব উপলদ্ধি করলাম।সেই উপলব্ধি থেকেই আমরা আমাদের এলাকার ছোট ভাই-বোনদের জন্য কিছু একটা করার প্রয়োজন মনে করলাম। প্রথমে একটা অবৈতনিক কোচিংসেন্টার এর প্রস্তাব করলাম সবাই মিলে। এরপর পক্ষে- বিপক্ষে মতামতের পর আমরা একটা সংগঠনের মাধ্যমে এই রকম আরো সেবামূলক কাজ করার জন্য একমত পোষন করলাম। তারপর সবাই মিলে আমাদের প্রস্তাবিত সংগঠেনর নাম প্রস্তাব করলাম। অনেক নামের মাঝে "আলোর পথে" নামটাতে সবাই একমত পোষন করলাম। তারপর সংগঠন প্রতিষ্ঠায় সকলের অভিজ্ঞতার আলোকে দিকনিদেশর্না প্রদান করলো । আমাদের মূল উদ্দেশ্য ব্যক্তিস্বার্থহীন সমাজিক কল্যাণ। আমরা কিছু লক্ষ্য নির্ধারণ করি। যেমন:- দরিদ্র তহবিল স্থাপন করে দুস্থ ও অসহায়দের সাহায্য। এলাকায় শিক্ষারমান উন্নয়নে অবৈতনিক কোচিং এর ব্যবস্থা। কুসংস্কারের বিরুদ্ধে সমাজিক সচেনতা সৃষ্টি। ইভটিজিং,বাল্যবিবাহ,যৌতুক প্রথা রোধে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি করা ইত্যাদি। তারপর সংগঠন প্রতিষ্ঠায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হলাম। অতঃপর শুরু হল একটি অরাজনৈতিক সমাজসেবামূলক সংগঠন হিসেবে আলোর পথের অগ্রযাত্রা।'আলোর পথে'র সাথে পথ চলতে গিয়ে পেয়েছি সাজ্জাদ,আলাউল,সোহেল,আকবর, আনিস,হামিদ,ইমতিয়াজ ও মাসুম ভাইদের অনুপ্রেরণা এবং এক বুক ভালবাসা। এর পর থেকেই শুরু হল একটি অরাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন হিসেবে আলোর পথের অগ্রযাত্রা। সামাজিক সেবার কর্মসূচি হিসেবে আমরা গরিব-অসহায় মানুষদের পাশে দাড়িয়েছি। গত রমযানে আমাদের সংগঠনের পক্ষ হতে আমরা পুরা সমিতিরহাট ইউনিয়নের গরিব-অসহায় দের মাঝে তুলে দিয়েছিলাম ইফতার সামগ্রী। ঈদের আনন্দ সবার মাঝে ভাগাভাগি করে নিতে ইউনিয়নের গরিব মানুষদের হাতে তুলে দিয়েছিলাম ঈদের পোশাক।মানুষ মানুষের জন্যে, জীবন জীবনের জন্যে। এই বাক্যে উজ্জিবিত হয়েই আলোর পথের কর্মীরা দিনরাত করে যাচ্ছে অক্লান্ত পরিশ্রম। বর্তমানে 'আলোর পথে' লড়তেছে অসহায় জমিলের জীবনে আলো ফিরিয়ে দিতে। সহায়-সম্বলহীন জমিলের কিডনিজনিত রোগের জন্যে পুরা ইউনিয়নবাসীকে একত্রিত করে অনুদান সংগ্রহ করার মাধ্যমে চিকিৎসার খরচ চালিয়ে যাচ্ছে 'আলোর পথে'। অসহায় জমিলের জীবনে আলোর প্রদীপ জ্বালাতে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে যাচ্ছে আলোর পথের সকল কর্মী।আল্লাহ রহমতে একদিন জমিল সুস্থ হয়েই ফিরবে আমাদের মাঝে ইনশাল্লাহ। আশা রাখি আলোর পথে'র এই সমাজসেবামূলক কাজে পাশে পাব সমাজের সর্বস্তরের মানুষদের।সকলের ভালবাসাই আজ স্বউদ্যমে এগিয়ে যাচ্ছে আলোর পথে।পথ চলতে গিয়ে বাধা ও আসতেছে অনেক। তবে কোন বাধাই টেকাতে পারবেনা আলোর পথের জয়যাত্রা।ভাল কাজের সমালোচনা থাকবে।সমালোচকদের আমরা অনুপ্রেরক হিসেবে বিবেচনা করেই এগিয়ে যাচ্ছি।আমরা দেখিয়ে দিব যে আমরাই পারি যেটা আজ পর্যন্ত কেউ করে দেখাইতে পারেনাই।সমিতিরহাট ইউনিয়নে যে সংগঠনের অভাব ছিল এতদিন তা আমরা পূরণ করেছি। আপনাদের সবার ভালবাসা আর সাপোর্ট আমাদের সাথে থাকলে আলোর পথে - Way to light কে আমরা সমিতিরহাট ইউনিয়নের এক ও অদ্বিতীয় ব্রান্ডেড অর্গানাইজেশন হিসেবে গড়ে তুলতে পারবই ইনশাল্লাহ। যে লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছি সেই লক্ষ্য হাসিল করবই ইনশাল্লাহ।সব শেষে বলতে চাই, আলোর পথে দীপ্তিময় আলোয় একদিন মুখরিত হবে পরিবার,সমাজ তথা রাষ্ট্র।। মানবতাই পরম ধর্ম তা আবারো ফুটে উঠবে সকলের মনে-প্রাণে। ইনশাল্লাহ সমাজের প্রতিটা স্তরে স্তরে কাজ চালাবে আলোর পথে। সহ্য করা হবেনা কোন অন্যায়-অবিচার।অবহেলিত ইউনিয়নবাসী পাবে তাদের ন্যায্য অধিকার।।শিক্ষা-শান্তি-প্রগতির মাধ্যমে এগিয়ে যাবে সমাজ। এই কামনা।। জয় হোক আলোর পথের। জয় হোক মানবতার। জয় হোক আলোর পথের সকল কর্মীর উদ্দীপ্ত সংগ্রাম। #জানি_আলো_আসবেই। #প্রত্যেকে_মোরা_দেশের_তরে ধন্যবাদান্তে..... আলোর পথের প্রতিষ্ঠাতাবৃন্দ। বর্তমানে আলোর পথের সংগঠনের সদস্য হতে হলে একজন কর্মীর যে যে বৈশিষ্ট থাকা প্রয়োজন ১. এইচএসসি কোর্স সম্পন্ন করতে হবে। ২. ভাল চারিত্রিক গুণেন অধিকারী হতে হবে। ৩. সংগঠনের লক্ষ্য সমূহ পূরণের ইচ্ছা থাকতে হবে। ৪. নিজেকে সংগঠনের সম্পাদক নয়, সবসময় সদস্য রাখার মনোভাব থাকতে হবে। ৫. সংখ্যাগরিষ্টের মতামত মেনে নেওয়ার মনোভাব পোষন করতে হবে। ৬. ভর্তি ফি -৪০০ টাকা প্রদান করতে হবে। আমাদের লক্ষ্যসমূহ: ০১) দরিদ্র তহবিল গঠনের মাধ্যমে এলাকার ও দেশের দরিদ্রতা দূর করতে সহায়তা করা। ০২) গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা। ০৩) সদস্যদের দ্বারা এলাকার শিক্ষার মান বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা। ০৪) সংগঠনের মাধ্যমে এলাকার বেকার যুবকদের প্রশিক্ষণ এবং কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা। ০৫) গ্রামের প্রত্যেক মানুষদের জন্য সদস্যদের দ্বারা স্বেচ্ছায় রক্তদান এবং গরীবদের জন্য সু- চিকিৎসার ব্যবস্থা করা। ০৬) ইভটিজিং, বাল্য বিবাহ, কু-সংস্কার ইত্যাদি প্রতিরোধ এবং গরীবদের ফ্রি আইনি সহায়তার ব্যবস্থা করা। ০৭) বিভিন্ন জাতীয় এবং আন্তজাতিক দিবস সমূহ উদযাপন করা। ইত্যাদি। আমাদের স্লোগান- প্রত্যেকে মোরা দেশের তরে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস